Wednesday, November 27, 2013

রেন্ট-এ-কোডার : ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট

| |
রেন্ট-এ-কোডার : ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট
কমপিউটার জগৎ-এর গত সংখ্যায় আমরা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের নানা দিক, সম্ভাবনা, টাকা উত্তোলনের উপায় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম৷ পাঠকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে৷ এই সংখ্যায় একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট www.RentACoder.com নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে৷



রেন্ট-এ-কোডার হচ্ছে ইন্টারনেটভিত্তিক মার্কেট প্লেস, যেখানে প্রোগ্রামারদের স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ করে দেয়৷ এই সাইটে প্রোগ্রামিংয়ের পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইন, রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, সার্চইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), গেম ডেভেলপমেন্টসহ অসংখ্য ধরনের কাজ পাওয়া যায়৷ অতীতে কমপিউটারভিত্তিক ব্যবসায়-বাণিজ্যের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের লোকাল বা আঞ্চলিক সার্ভিসের ওপর নির্ভর করতে হতো৷ এতে সার্ভিসের গুণগত মান ভালো হতো না এবং অনেক ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ অনেক বেশি হতো৷ বর্তমানে রেন্ট-এ-কোডারের মতো সাইটগুলো আউটসোর্সিংয়ের যে সুযোগ করে দিয়েছে তাতে ক্লায়েন্টরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বাছাই করে তুলনামূলকভাবে কম খরচে ভালো লোক দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারছে৷ অন্যদিকে প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, অপারেটর এবং অন্য পেশাজীবীরা তাদের ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারছে৷



রেন্ট-এ-কোডারে দুই ধরনের ব্যবহারকারী আছে৷ যারা এই সাইটে প্রজেক্ট পোস্ট করে তাদেরকে বলা হয় বায়ার এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় কোডার৷ বলা বাহুল্য, এই সাইটে কোডার বলতে শুধু প্রোগ্রামারই নয়, বরং সব ফ্রিল্যান্সারকেই বুঝায়৷ এ পর্যন্ত প্রায় ২,৯৭,০০০ কোডার রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে৷

রেজিস্ট্রেশনের ধাপগুলো

সাইটটিতে রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে৷ কোডার বা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের ধাপগুলো হলো :

০১. অ্যাকাউন্ট তৈরি করা

সাইটের প্রথম পৃষ্ঠার নিচের অংশ থেকে Login নামের লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন৷ লগইন পৃষ্ঠা থেকে Create your free account লিঙ্কটি ক্লিক করুন৷ এই অংশে আপনার ই-মেইল ঠিকানা দিতে হবে৷ সাইটটি তখন আপনাকে একটি ই-মেইল পাঠাবে৷ ই-মেইলে দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে সাইটটিতে প্রবেশ করুন এবং আপনার আইডি নিশ্চিত করুন৷

০২. ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে৷ ইউজার ইনফরমেশন পৃষ্ঠায় আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে৷

স্ক্রিন নেম :

এই অংশে কোম্পানির নাম, আপনার পুরো নাম বা অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করতে পারেন৷ সাইটের সব ক্ষেত্রে এই নামটি আপনার পরিচয় বহন করবে৷
পাসওয়ার্ড :

এই অংশে একটি পাসওয়ার্ড দিন, যা প্রতিবার সাইটে লগইন করার সময় ব্যবহার করতে হবে৷

বিলিং তথ্য :

বিলিংয়ের বিভিন্ন টেক্সটবক্সগুলোতে আপনার নাম এবং পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিন৷ ব্যক্তিগতভাবে সাইটে কাজ করতে চাইলে বিলিংকোম্পানি ঘরটি খালি রাখুন৷ পরবর্তী সম চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিলিং অংশে দেয়া ঠিকানায় আপনাকে চেক পাঠানো হবে৷

০৩. টাকা তোলার উপায়

এই ধাপে আপনাকে টাকা তোলার যেকোনো একটি পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে৷ রেন্ট-এ-কোডার থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা তোলা যায়, যা কমপিউটার জগৎ-এর গত সংখ্যায় আলোচনা করা হয়েছে৷ এই ধাপটি যেহেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই নতুন পাঠকদের সুবিধার জন্য তা আরেকবার বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো৷

স্নেইল মেইল চেক : এই পদ্ধতিতে খরচ তুলনামূলকভাবে কম৷ প্রতিবার টাকা তুলতে খরচ পড়বে মাত্র ১০ ডলার, যা চেকের মাধ্যমে আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে৷ তবে এটি একটি সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি৷ সাইটে রেজিস্ট্রেশনের সময় ঝামেলা এড়াতে প্রাথমিকভাবে এই পদ্ধতিটি সিলেক্ট করতে পারেন৷ পরে যেকোনো সময় অন্য পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে পারবেন৷

ব্যাংক টু ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার :

টাকা তোলার একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ উপায় হচ্ছে ওয়্যার ট্রান্সফার৷ এই পদ্ধতিতে মাস শেষে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পুরো টাকা বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এসে জমা হয়ে যাবে৷ তবে এই পদ্ধতিতে চার্জ একটু বেশি৷ প্রতিবার টাকা তুলতে মোট ৫৫ ডলার খরচ পড়বে৷ এই পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে হলে আপনাকে নিচে উল্লিখিত তথ্যগুলো সাইটে দিতে হবে (চিত্র-২) :

যুক্তরাষ্ট্র ব্যাংকের নাম :

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত একটি ব্যাংকের নাম যা মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করবে৷ এজন্য আপনি আপনার ব্যাংকে গিয়ে জেনে নিন, এরা ওই দেশের কোন কোন ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে থাকে৷

ইউএস ব্যাংক এবিএ রাউটিং নাম্বার : যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ওই ব্যংকের রাউটিং নাম্বার, যা আপনি ব্যাংকটির ওয়েবসাইটে পেয়ে যেতে পারেন৷ ব্যাংকের সাইট না পেলে গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন অথবা আপনার ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন৷

 বেনিফিসিয়ারি ব্যাংক : দেশে অবস্থিত আপনার ব্যাংকের নাম এবং ঠিকানা৷
 SWIFT অ্যাড্রেস : আপনার ব্যাংকের SWIFT কোড৷
 বেনিফিসিয়ারি নেম : আপনার নাম অর্থাৎ ব্যাংকে যে নামে আপনার অ্যাকাউন্ট আছে সেই নাম৷
 বেনিফিসিয়ারি অ্যাকাউন্ট : আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার৷
 বেনিফিসিয়ারি ব্যাংক শাখা : আপনার ব্যাংকের শাখা এবং ঠিকানা৷


পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ড



উপরের দুটি পদ্ধতি থেকে সবচাইতে দ্রুত পদ্ধতি হচ্ছে পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ড (চিত্র-৪)৷ সম্প্রতি প্রায় ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এই মাস্টার কার্ড সার্ভিস চালু করেছে৷ এই পদ্ধতিতে মাস শেষে আপনি টাকা খুবই দ্রুত পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে এটিএম-এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন৷ এজন্য এককালীন খরচ পড়বে ২০ ডলার আর মাসিক খরচ পড়বে সর্বমোট ১০ ডলারের মতো৷ এটিএম থেকে প্রতিবার টাকা তোলার জন্য খরচ পড়বে ২.১৫ ডলার৷ এজন্য প্রথমে রেন্ট-এ-কোডারের মাধ্যমে পাইওনিয়ার সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট করতে হবে৷ তারপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় একটি মাস্টার কার্ড পৌঁছে যাবে৷ কার্ডটি হাতে পাবার পর নির্দেশনা অনুযায়ী তা সচল করতে হবে এবং ৪ সংখ্যার একটি গোপন পিন নাম্বার দিতে হবে৷ পরে এই নাম্বারের মাধ্যমে এই কার্ডটি সাপোর্ট করে এমন যেকোনো এটিএম থেকে টাকা সহজেই তুলতে পারবেন৷ কার্ডটি সফলভাবে সচল করার পর রেন্ট-এ-কোডার সাইটের My Pay Options অংশে এসে কার্ডটির প্রাপ্তিস্বীকার করতে হবে৷ এরপর প্রতি মাস শেষে বা মাসের মাঝামাঝি সময়ে রেন্ট-এ-কোডার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে টাকা লোড করবে৷

০৪. ই-মেইল এলার্ট এবং অন্যান্য তথ্য

প্রতিদিন নতুন নতুন কাজের তথ্য, বায়ারের রিপ্লাই এবং সাইটের অন্যান্য তথ্য ই-মেইলের মাধ্যমে পেতে চাইলে এই পৃষ্ঠায় ঠিক করে দিন৷ এই পৃষ্ঠার নিচের অংশে ইচ্ছে করলে আপনি আপনার ফোন নাম্বার, বায়ারের সাথে চ্যাট করার জন্য ম্যাসেঞ্জারের আইডি দিতে পারেন৷ সাধারণত আপনি কখনই আপনার ফোন নাম্বার এবং ই-মেইল ঠিকানা বায়ারকে দিতে পারবেন না৷ তবে কাজের মূল্য ৫০০ ডলারের বেশি হলে সাইটি নিজে থেকেই এই তথ্যগুলো বায়ারকে জানাবে৷ তখন আপনি বায়ারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন৷ তবে সবচেয়ে নিরাপদ হলো সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের মাধ্যমে বায়ারের সাথে যোগাযোগ করা৷

০৫. নির্দিষ্ট ধরনের প্রজেক্ট ফিল্টার করা

আপনি যে ধরনের প্রজেক্টে কাজ করতে চান, তা এই ধাপে ঠিক করে দিতে হবে৷ প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্সের বা অন্য যে বিষয়ে আপনি কাজ করতে চান তা সিলেক্ট করুন, ফলে নতুন প্রজেক্টের পৃষ্ঠায় শুধু আপনার কাঙ্খিত প্রজেক্টগুলোই দেখতে পাবেন৷ এই ধাপে প্রজেক্টের বিভিন্ন মূল্যের ওপর ভিত্তি করে আরেকটি ফিল্টার করতে পারবেন (চিত্র-৪)৷ সাইটে ১০০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার ডলারের প্রজেক্ট বিভাগ আছে৷ প্রাথমিকভাবে ১০০ ডলারের প্রজেক্ট বিভাগ সিলেক্ট করুন, পরে সাইটে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বেশি মূল্যের প্রজেক্টগুলো ফিল্টার করতে পারেন৷



০৬. রিজ্যুমে তৈরি করা

এই ধাপে আপনার একটি রিজ্যুমে তৈরি করে নিন৷ এই পৃষ্ঠায় দুটি টেক্সটবক্স পাবেন৷ প্রথমটিতে আপনার নিজের বা কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য দিন৷ দ্বিতীয় বক্সে যে বিষয়গুলোতে ‍আপনার অভিজ্ঞতা ‍আছে, তা উল্লেখ করুন৷ এ তথ্যগুলো আপনার প্রোফাইল পৃষ্ঠায় সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে৷ বায়ার এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আপনাকে কাজ দেবে৷ তাই রিজ্যুমে যথাসম্ভব আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল রাখতে চেষ্টা করবেন৷ প্রয়োজনে অন্যান্য কোডারের প্রোফাইল থেকে আইডিয়া নিতে পারেন৷ তবে কখনই আপনার ই-মেইল ঠিকানা, ফোন নাম্বার বা অন্য কোনো তথ্য, যা দিয়ে বায়ার আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে, তা উল্লেখ করতে পারবেন না৷ এই পৃষ্ঠায় আপনি আপনার ছবি বা আপনার কোম্পানির লোগো দিতে পারবেন৷

একটি বিড রিকোয়েস্টের বিভিন্ন তথ্য

সাইটে একটি প্রজেক্টের মূল পৃষ্ঠায় (Bid Request) বিভিন্ন ধরনের তথ্য থাকে (চিত্র-৫)৷ সফলভাবে বিড আবেদন করার জন্য এই তথ্যগুলো ভালোভাবে জানা খুবই জরুরি৷ নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো :

Posted by : এ অংশে বায়ারের স্ক্রিন নাম ও অন্য কোডার প্রদত্ত বায়ারের গড় রেটিং দেখায়৷ স্ক্রিন নামের লিঙ্কে ক্লিক করে বায়ার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে৷



Approved on : এই প্রজেক্টটি যে তারিখে রেন্ট-এ-কোডারে পোস্ট করা হয়েছে, তা দেখাবে৷

Deadline : এই প্রজেক্টটি সম্পন্ন করতে সর্ব্বোচ্চ সময়সীমা।

Phase : একটি প্রজেক্ট কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত-বিড করা, কাজ শুরু করা, কাজ জমা দেয়া, শতভাগ মূল্য পরিশোধ ইত্যাদি৷ এই অংশে প্রজেক্টের সর্বশেষ অবস্থা দেখাবে৷

Pay Type : বায়ার দুই ধরনের পদ্ধতিতে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করতে পারে৷ সম্পূর্ণ প্রজেক্টের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য অথবা আপনার প্রতিঘণ্টা কাজের জন্য৷ এই সাইটে বেশিরভাগ কাজ পাওয়া যায় সম্পূর্ণ প্রজেক্ট হিসেবে৷

Max Accepted Bid : এই প্রজেক্টে বিড করতে আপনি সর্বোচ্চ যে পরিমাণ মূল্য উল্লেখ করতে পারেন৷ অন্যভাবে বলতে গেলে বায়ারের সর্বোচ্চ বাজেট এই অংশে দেখা যাবে৷

Expert Guarantee : অনেক প্রজেক্টের ক্ষেত্রে এই অংশটি আপনি দেখতে পাবেন, যেখানে বায়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য উল্লেখ করে দেয় (প্রজেক্টের মূল্যের ১০% বা ২০%)৷ এর অর্থ হচ্ছে প্রজেক্টটি শুরু করার সময় ওই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সাইটে সিকিউরিটি হিসেবে জমা করতে হবে৷ যদি ডেডলাইনে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে আপনি কাজটি জমা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে এ পরিমাণ অর্থদণ্ড আপনাকে দিতে হবে৷ সময়মতো কাজ জমা দিলে সম্পূর্ণ মূল্য আপনি ফেরত পাবেন৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কোডার ডেডলাইনের আগে কাজ জমা দেয়ার অঙ্গীকার করে, কিন্তু পরে ঠিক সময়ে কাজ জমা দেয় না৷ এই পদ্ধতিটি বায়ারকে সিরিয়াস এবং দক্ষ কোডার নির্বাচনে সাহায্য করে৷

Project Type : এই অংশে প্রজেক্টের ধরন উল্লেখ করা থাকে : ক্ষুদ্র, মাঝারি না বড়, যার মূল্য ১০০ ডলারের কম থেকে শুরু করে ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে৷ ধরা যাক, কোনো একটি ক্ষুদ্র প্রজেক্টের ধরন হচ্ছে ১০০ ডলার বা তার চেয়ে বেশি এবং বিডের সর্বোচ্চ সীমা হচ্ছে ৫০০ ডলার৷ এক্ষেত্রে একজন কোডারকে ১০০ ডলার থেকে ৫০০ ডলারের মধ্যে বিড করতে হবে৷ এরপর বায়ার সিদ্ধান্ত নেবে কাকে কাজটি দেবে৷

Bidding Type : একটি বিড রিকোয়েস্ট কয়েক ধরনের হতে পারে : সবার জন্য উন্মুক্ত, নির্দিষ্ট কয়েক জনের জন্য উন্মুক্ত বা শুধু একজন কোডারের জন্য উন্মুক্ত৷ সবার জন্য উন্মুক্ত (Open Auction) প্রজেক্টের ক্ষেত্রে যেকোনো কোডার বিড করতে পারবে৷ অন্যান্য ক্ষেত্রে বায়ার ঠিক করে দেয় কোন কোন কোডার এই প্রজেক্টের জন্য বিড করতে পারবে৷

বিড রিকোয়েস্ট পৃষ্ঠার পরবর্তী অংশে প্রজেক্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা থাকে৷ বিড করার আগে সম্পূর্ণ তথ্য ভালোভাবে পড়ে নিন এবং কাজটি আপনি করতে পারবেন কি-না, তা নিশ্চিত হোন৷ অনেক ক্ষেত্রে বায়ার অতিরিক্ত ফাইলের মাধ্যমে প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে থাকেন৷ বিড করার আগে ফাইলটি অবশ্যই ডাউনলোড করে দেখে নিন এবং ক্লায়েন্টের চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন৷ এই পৃষ্ঠার সর্বশেষ অংশে আপনি বিড করার জন্য অথবা বায়ারকে আপনার মতামত জানানোর জন্য একটি অংশ পাবেন (চিত্র-৬)৷ এই অংশের মধ্যে আছে-

Bid Amount : এ প্রজেক্ট আপনি কত ডলারে সম্পন্ন করতে ইচ্ছুক, তা উল্লেখ করুন৷ আপনি যদি বায়ারের চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত না হোন অথবা আরো তথ্য জানার জন্য বায়ারের সাথে যোগাযোগ করতে চান, তাহলে এই ঘরটি খালি রাখুন৷ এই ঘরে মূল্য উল্লেখ করলে আপনার মেসেজটি একটি বিড হিসেবে গণ্য হবে এবং খালি রাখলে মন্তব্য হিসেবে গণ্য হবে৷

Expert Guarantee : প্রজেক্টের শুরুতে যদি বায়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য নিরাপত্তার জন্য জমা দিতে বলে, তাহলে সেই পরিমাণ মূল্য (শতকরাহিসেবে) এখানে উল্লেখ করুন৷ অন্যক্ষেত্রে এই ঘরটি খালি রাখুন, তা না হলে অযথা ঝামেলায় পড়বেন৷

Comment : এই অংশে প্রজেক্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য, প্রশ্ন, পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন৷ সাথে সাথে আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু তথ্য, আগের কাজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে পারেন৷ তবে প্রজেক্ট সম্পর্কিত সামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য, আপনার মানসিক দৃঢ়তা, সঠিক সময়ে কাজ দেয়ার অঙ্গীকার ইত্যাদি কাজ পাবার ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে৷ মন্তব্যের সাথে আপনার ফোন নাম্বার, ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি দেয়া থেকে বিরত থাকুন৷

Attachment : বায়ারের সুবিধার জন্য মন্তব্যের সাথে আপনি অতিরিক্ত কোনো ফাইল, অতীতে কোনো প্রজেক্টের স্ক্রিনশট ইত্যাদি জিপ ফাইল আকারে আপলোড করতে পারবেন৷ তবে কখনই পূর্বে তৈরি করা কোনো প্রজেক্ট বা প্রজেক্টের অংশবিশেষ আপলোড করতে পারবেন না৷

Make Bid/Comment : সর্বশেষে এই বাটনটি ক্লিক করে আপনার বিড অথবা মন্তব্য সম্পন্ন করুন৷



শেষ কথা

রেন্ট-এ-কোডার সাইটের নিয়মকানুন খুব কড়াকড়িভাবে মেনে চলা হয়, যা বায়ার এবং কোডারের মধ্যে একটি আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করে৷ রেন্ট-এ-কোডারের মতো ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কল্যাণে হাজারো কোডার তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছে৷ তবে এই সাইটের সার্ভিস চার্জ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি, প্রতিটি কাজের ১৫ শতাংশ কোডারকে পরিশোধ করতে হয়৷ আরেকটা অসুবিধা হচ্ছে সাইটে গোল্ডমেম্বার বলতে কোনো কিছু নেই, যা অন্যান্য সাইটগুলোতে আছে৷ তারপরও এই সাইটি ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বায়ার এবং কোডারদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এবং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে৷

কজ ওয়েব


ফিডব্যাক : zakaria.cse@gmail.com 
 

1 comments:

শুভেচ্ছা জানাচ্ছি,

আমি তাবাসসুম, ইন্সটাফরেক্স পার্টনার ম্যানেজার।

আমরা আপনাকে প্রস্তাব জানাতে চাই ইন্সটাফরেক্স পার্টনার প্রোগ্রামে যেখানে আপনি ১.৫ পিপস (১৫ ডলার স্ট্যান্ডার্ড মার্কেট লট থেকে) পাবেন আপনার প্রতিটা গ্রাহক থেকে। গ্রাহকদের থেকে প্রাপ্ত কমিশন আপনার অ্যাকাউন্ট এ জমা হয়ে যাবে যেটা আপনি সহজেই উত্তোলন করতে পাড়বেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ধরনের কমিশন এবং বোনাস সহ নানান ধরনের সুবিধা পাবেন ইন্সটাফরেক্স পার্টনার হিসাবে।

আপনি যদি আগ্রহী হন অথবা যদি কোন প্রশ্ন থাকে নিঃসংকোচে আমার সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের এই প্রস্তাব সম্পর্কে আপনার মতামত অবশ্যই আমাকে জানাবেন।

ধন্যবাদ। অপেক্ষা করছি আপনার আগ্রহ সম্পর্কে জানতে।

Skype ID: Tabassum IFX

Post a Comment

Powered by Blogger | Big News Times Theme by Basnetg Templates
Powered by Blogger.