Wednesday, November 27, 2013

রেন্ট-এ-কোডার : ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট

| |
1 comments
রেন্ট-এ-কোডার : ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সাইট
কমপিউটার জগৎ-এর গত সংখ্যায় আমরা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের নানা দিক, সম্ভাবনা, টাকা উত্তোলনের উপায় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম৷ পাঠকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে৷ এই সংখ্যায় একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট www.RentACoder.com নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে৷



রেন্ট-এ-কোডার হচ্ছে ইন্টারনেটভিত্তিক মার্কেট প্লেস, যেখানে প্রোগ্রামারদের স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগ করে দেয়৷ এই সাইটে প্রোগ্রামিংয়ের পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইন, রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, সার্চইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), গেম ডেভেলপমেন্টসহ অসংখ্য ধরনের কাজ পাওয়া যায়৷ অতীতে কমপিউটারভিত্তিক ব্যবসায়-বাণিজ্যের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের লোকাল বা আঞ্চলিক সার্ভিসের ওপর নির্ভর করতে হতো৷ এতে সার্ভিসের গুণগত মান ভালো হতো না এবং অনেক ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ অনেক বেশি হতো৷ বর্তমানে রেন্ট-এ-কোডারের মতো সাইটগুলো আউটসোর্সিংয়ের যে সুযোগ করে দিয়েছে তাতে ক্লায়েন্টরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বাছাই করে তুলনামূলকভাবে কম খরচে ভালো লোক দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারছে৷ অন্যদিকে প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, অপারেটর এবং অন্য পেশাজীবীরা তাদের ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারছে৷



রেন্ট-এ-কোডারে দুই ধরনের ব্যবহারকারী আছে৷ যারা এই সাইটে প্রজেক্ট পোস্ট করে তাদেরকে বলা হয় বায়ার এবং যারা এই কাজগুলো সম্পন্ন করে তাদেরকে বলা হয় কোডার৷ বলা বাহুল্য, এই সাইটে কোডার বলতে শুধু প্রোগ্রামারই নয়, বরং সব ফ্রিল্যান্সারকেই বুঝায়৷ এ পর্যন্ত প্রায় ২,৯৭,০০০ কোডার রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং প্রতিদিনই এই সংখ্যা বাড়ছে৷

রেজিস্ট্রেশনের ধাপগুলো

সাইটটিতে রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে৷ কোডার বা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের ধাপগুলো হলো :

০১. অ্যাকাউন্ট তৈরি করা

সাইটের প্রথম পৃষ্ঠার নিচের অংশ থেকে Login নামের লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন৷ লগইন পৃষ্ঠা থেকে Create your free account লিঙ্কটি ক্লিক করুন৷ এই অংশে আপনার ই-মেইল ঠিকানা দিতে হবে৷ সাইটটি তখন আপনাকে একটি ই-মেইল পাঠাবে৷ ই-মেইলে দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে সাইটটিতে প্রবেশ করুন এবং আপনার আইডি নিশ্চিত করুন৷

০২. ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান

অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে৷ ইউজার ইনফরমেশন পৃষ্ঠায় আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে৷

স্ক্রিন নেম :

এই অংশে কোম্পানির নাম, আপনার পুরো নাম বা অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করতে পারেন৷ সাইটের সব ক্ষেত্রে এই নামটি আপনার পরিচয় বহন করবে৷
পাসওয়ার্ড :

এই অংশে একটি পাসওয়ার্ড দিন, যা প্রতিবার সাইটে লগইন করার সময় ব্যবহার করতে হবে৷

বিলিং তথ্য :

বিলিংয়ের বিভিন্ন টেক্সটবক্সগুলোতে আপনার নাম এবং পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিন৷ ব্যক্তিগতভাবে সাইটে কাজ করতে চাইলে বিলিংকোম্পানি ঘরটি খালি রাখুন৷ পরবর্তী সম চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে বিলিং অংশে দেয়া ঠিকানায় আপনাকে চেক পাঠানো হবে৷

০৩. টাকা তোলার উপায়

এই ধাপে আপনাকে টাকা তোলার যেকোনো একটি পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে৷ রেন্ট-এ-কোডার থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা তোলা যায়, যা কমপিউটার জগৎ-এর গত সংখ্যায় আলোচনা করা হয়েছে৷ এই ধাপটি যেহেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই নতুন পাঠকদের সুবিধার জন্য তা আরেকবার বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো৷

স্নেইল মেইল চেক : এই পদ্ধতিতে খরচ তুলনামূলকভাবে কম৷ প্রতিবার টাকা তুলতে খরচ পড়বে মাত্র ১০ ডলার, যা চেকের মাধ্যমে আপনার ঠিকানায় পাঠানো হবে৷ তবে এটি একটি সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি৷ সাইটে রেজিস্ট্রেশনের সময় ঝামেলা এড়াতে প্রাথমিকভাবে এই পদ্ধতিটি সিলেক্ট করতে পারেন৷ পরে যেকোনো সময় অন্য পদ্ধতিতে পরিবর্তন করতে পারবেন৷

ব্যাংক টু ব্যাংক ওয়্যার ট্রান্সফার :

টাকা তোলার একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ উপায় হচ্ছে ওয়্যার ট্রান্সফার৷ এই পদ্ধতিতে মাস শেষে ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পুরো টাকা বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এসে জমা হয়ে যাবে৷ তবে এই পদ্ধতিতে চার্জ একটু বেশি৷ প্রতিবার টাকা তুলতে মোট ৫৫ ডলার খরচ পড়বে৷ এই পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে হলে আপনাকে নিচে উল্লিখিত তথ্যগুলো সাইটে দিতে হবে (চিত্র-২) :

যুক্তরাষ্ট্র ব্যাংকের নাম :

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত একটি ব্যাংকের নাম যা মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করবে৷ এজন্য আপনি আপনার ব্যাংকে গিয়ে জেনে নিন, এরা ওই দেশের কোন কোন ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে থাকে৷

ইউএস ব্যাংক এবিএ রাউটিং নাম্বার : যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত ওই ব্যংকের রাউটিং নাম্বার, যা আপনি ব্যাংকটির ওয়েবসাইটে পেয়ে যেতে পারেন৷ ব্যাংকের সাইট না পেলে গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন অথবা আপনার ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন৷

 বেনিফিসিয়ারি ব্যাংক : দেশে অবস্থিত আপনার ব্যাংকের নাম এবং ঠিকানা৷
 SWIFT অ্যাড্রেস : আপনার ব্যাংকের SWIFT কোড৷
 বেনিফিসিয়ারি নেম : আপনার নাম অর্থাৎ ব্যাংকে যে নামে আপনার অ্যাকাউন্ট আছে সেই নাম৷
 বেনিফিসিয়ারি অ্যাকাউন্ট : আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার৷
 বেনিফিসিয়ারি ব্যাংক শাখা : আপনার ব্যাংকের শাখা এবং ঠিকানা৷


পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ড



উপরের দুটি পদ্ধতি থেকে সবচাইতে দ্রুত পদ্ধতি হচ্ছে পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ড (চিত্র-৪)৷ সম্প্রতি প্রায় ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এই মাস্টার কার্ড সার্ভিস চালু করেছে৷ এই পদ্ধতিতে মাস শেষে আপনি টাকা খুবই দ্রুত পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে এটিএম-এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন৷ এজন্য এককালীন খরচ পড়বে ২০ ডলার আর মাসিক খরচ পড়বে সর্বমোট ১০ ডলারের মতো৷ এটিএম থেকে প্রতিবার টাকা তোলার জন্য খরচ পড়বে ২.১৫ ডলার৷ এজন্য প্রথমে রেন্ট-এ-কোডারের মাধ্যমে পাইওনিয়ার সাইটে একটি অ্যাকাউন্ট করতে হবে৷ তারপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় একটি মাস্টার কার্ড পৌঁছে যাবে৷ কার্ডটি হাতে পাবার পর নির্দেশনা অনুযায়ী তা সচল করতে হবে এবং ৪ সংখ্যার একটি গোপন পিন নাম্বার দিতে হবে৷ পরে এই নাম্বারের মাধ্যমে এই কার্ডটি সাপোর্ট করে এমন যেকোনো এটিএম থেকে টাকা সহজেই তুলতে পারবেন৷ কার্ডটি সফলভাবে সচল করার পর রেন্ট-এ-কোডার সাইটের My Pay Options অংশে এসে কার্ডটির প্রাপ্তিস্বীকার করতে হবে৷ এরপর প্রতি মাস শেষে বা মাসের মাঝামাঝি সময়ে রেন্ট-এ-কোডার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে টাকা লোড করবে৷

০৪. ই-মেইল এলার্ট এবং অন্যান্য তথ্য

প্রতিদিন নতুন নতুন কাজের তথ্য, বায়ারের রিপ্লাই এবং সাইটের অন্যান্য তথ্য ই-মেইলের মাধ্যমে পেতে চাইলে এই পৃষ্ঠায় ঠিক করে দিন৷ এই পৃষ্ঠার নিচের অংশে ইচ্ছে করলে আপনি আপনার ফোন নাম্বার, বায়ারের সাথে চ্যাট করার জন্য ম্যাসেঞ্জারের আইডি দিতে পারেন৷ সাধারণত আপনি কখনই আপনার ফোন নাম্বার এবং ই-মেইল ঠিকানা বায়ারকে দিতে পারবেন না৷ তবে কাজের মূল্য ৫০০ ডলারের বেশি হলে সাইটি নিজে থেকেই এই তথ্যগুলো বায়ারকে জানাবে৷ তখন আপনি বায়ারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন৷ তবে সবচেয়ে নিরাপদ হলো সাইটের ম্যাসেজ সিস্টেমের মাধ্যমে বায়ারের সাথে যোগাযোগ করা৷

০৫. নির্দিষ্ট ধরনের প্রজেক্ট ফিল্টার করা

আপনি যে ধরনের প্রজেক্টে কাজ করতে চান, তা এই ধাপে ঠিক করে দিতে হবে৷ প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্সের বা অন্য যে বিষয়ে আপনি কাজ করতে চান তা সিলেক্ট করুন, ফলে নতুন প্রজেক্টের পৃষ্ঠায় শুধু আপনার কাঙ্খিত প্রজেক্টগুলোই দেখতে পাবেন৷ এই ধাপে প্রজেক্টের বিভিন্ন মূল্যের ওপর ভিত্তি করে আরেকটি ফিল্টার করতে পারবেন (চিত্র-৪)৷ সাইটে ১০০ ডলার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার ডলারের প্রজেক্ট বিভাগ আছে৷ প্রাথমিকভাবে ১০০ ডলারের প্রজেক্ট বিভাগ সিলেক্ট করুন, পরে সাইটে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বেশি মূল্যের প্রজেক্টগুলো ফিল্টার করতে পারেন৷



০৬. রিজ্যুমে তৈরি করা

এই ধাপে আপনার একটি রিজ্যুমে তৈরি করে নিন৷ এই পৃষ্ঠায় দুটি টেক্সটবক্স পাবেন৷ প্রথমটিতে আপনার নিজের বা কোম্পানির বিস্তারিত তথ্য দিন৷ দ্বিতীয় বক্সে যে বিষয়গুলোতে ‍আপনার অভিজ্ঞতা ‍আছে, তা উল্লেখ করুন৷ এ তথ্যগুলো আপনার প্রোফাইল পৃষ্ঠায় সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে৷ বায়ার এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আপনাকে কাজ দেবে৷ তাই রিজ্যুমে যথাসম্ভব আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল রাখতে চেষ্টা করবেন৷ প্রয়োজনে অন্যান্য কোডারের প্রোফাইল থেকে আইডিয়া নিতে পারেন৷ তবে কখনই আপনার ই-মেইল ঠিকানা, ফোন নাম্বার বা অন্য কোনো তথ্য, যা দিয়ে বায়ার আপনার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে, তা উল্লেখ করতে পারবেন না৷ এই পৃষ্ঠায় আপনি আপনার ছবি বা আপনার কোম্পানির লোগো দিতে পারবেন৷

একটি বিড রিকোয়েস্টের বিভিন্ন তথ্য

সাইটে একটি প্রজেক্টের মূল পৃষ্ঠায় (Bid Request) বিভিন্ন ধরনের তথ্য থাকে (চিত্র-৫)৷ সফলভাবে বিড আবেদন করার জন্য এই তথ্যগুলো ভালোভাবে জানা খুবই জরুরি৷ নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো :

Posted by : এ অংশে বায়ারের স্ক্রিন নাম ও অন্য কোডার প্রদত্ত বায়ারের গড় রেটিং দেখায়৷ স্ক্রিন নামের লিঙ্কে ক্লিক করে বায়ার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে৷



Approved on : এই প্রজেক্টটি যে তারিখে রেন্ট-এ-কোডারে পোস্ট করা হয়েছে, তা দেখাবে৷

Deadline : এই প্রজেক্টটি সম্পন্ন করতে সর্ব্বোচ্চ সময়সীমা।

Phase : একটি প্রজেক্ট কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত-বিড করা, কাজ শুরু করা, কাজ জমা দেয়া, শতভাগ মূল্য পরিশোধ ইত্যাদি৷ এই অংশে প্রজেক্টের সর্বশেষ অবস্থা দেখাবে৷

Pay Type : বায়ার দুই ধরনের পদ্ধতিতে আপনাকে মূল্য পরিশোধ করতে পারে৷ সম্পূর্ণ প্রজেক্টের জন্য নির্দিষ্ট মূল্য অথবা আপনার প্রতিঘণ্টা কাজের জন্য৷ এই সাইটে বেশিরভাগ কাজ পাওয়া যায় সম্পূর্ণ প্রজেক্ট হিসেবে৷

Max Accepted Bid : এই প্রজেক্টে বিড করতে আপনি সর্বোচ্চ যে পরিমাণ মূল্য উল্লেখ করতে পারেন৷ অন্যভাবে বলতে গেলে বায়ারের সর্বোচ্চ বাজেট এই অংশে দেখা যাবে৷

Expert Guarantee : অনেক প্রজেক্টের ক্ষেত্রে এই অংশটি আপনি দেখতে পাবেন, যেখানে বায়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য উল্লেখ করে দেয় (প্রজেক্টের মূল্যের ১০% বা ২০%)৷ এর অর্থ হচ্ছে প্রজেক্টটি শুরু করার সময় ওই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সাইটে সিকিউরিটি হিসেবে জমা করতে হবে৷ যদি ডেডলাইনে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে আপনি কাজটি জমা দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে এ পরিমাণ অর্থদণ্ড আপনাকে দিতে হবে৷ সময়মতো কাজ জমা দিলে সম্পূর্ণ মূল্য আপনি ফেরত পাবেন৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কোডার ডেডলাইনের আগে কাজ জমা দেয়ার অঙ্গীকার করে, কিন্তু পরে ঠিক সময়ে কাজ জমা দেয় না৷ এই পদ্ধতিটি বায়ারকে সিরিয়াস এবং দক্ষ কোডার নির্বাচনে সাহায্য করে৷

Project Type : এই অংশে প্রজেক্টের ধরন উল্লেখ করা থাকে : ক্ষুদ্র, মাঝারি না বড়, যার মূল্য ১০০ ডলারের কম থেকে শুরু করে ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে৷ ধরা যাক, কোনো একটি ক্ষুদ্র প্রজেক্টের ধরন হচ্ছে ১০০ ডলার বা তার চেয়ে বেশি এবং বিডের সর্বোচ্চ সীমা হচ্ছে ৫০০ ডলার৷ এক্ষেত্রে একজন কোডারকে ১০০ ডলার থেকে ৫০০ ডলারের মধ্যে বিড করতে হবে৷ এরপর বায়ার সিদ্ধান্ত নেবে কাকে কাজটি দেবে৷

Bidding Type : একটি বিড রিকোয়েস্ট কয়েক ধরনের হতে পারে : সবার জন্য উন্মুক্ত, নির্দিষ্ট কয়েক জনের জন্য উন্মুক্ত বা শুধু একজন কোডারের জন্য উন্মুক্ত৷ সবার জন্য উন্মুক্ত (Open Auction) প্রজেক্টের ক্ষেত্রে যেকোনো কোডার বিড করতে পারবে৷ অন্যান্য ক্ষেত্রে বায়ার ঠিক করে দেয় কোন কোন কোডার এই প্রজেক্টের জন্য বিড করতে পারবে৷

বিড রিকোয়েস্ট পৃষ্ঠার পরবর্তী অংশে প্রজেক্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা থাকে৷ বিড করার আগে সম্পূর্ণ তথ্য ভালোভাবে পড়ে নিন এবং কাজটি আপনি করতে পারবেন কি-না, তা নিশ্চিত হোন৷ অনেক ক্ষেত্রে বায়ার অতিরিক্ত ফাইলের মাধ্যমে প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে থাকেন৷ বিড করার আগে ফাইলটি অবশ্যই ডাউনলোড করে দেখে নিন এবং ক্লায়েন্টের চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন৷ এই পৃষ্ঠার সর্বশেষ অংশে আপনি বিড করার জন্য অথবা বায়ারকে আপনার মতামত জানানোর জন্য একটি অংশ পাবেন (চিত্র-৬)৷ এই অংশের মধ্যে আছে-

Bid Amount : এ প্রজেক্ট আপনি কত ডলারে সম্পন্ন করতে ইচ্ছুক, তা উল্লেখ করুন৷ আপনি যদি বায়ারের চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত না হোন অথবা আরো তথ্য জানার জন্য বায়ারের সাথে যোগাযোগ করতে চান, তাহলে এই ঘরটি খালি রাখুন৷ এই ঘরে মূল্য উল্লেখ করলে আপনার মেসেজটি একটি বিড হিসেবে গণ্য হবে এবং খালি রাখলে মন্তব্য হিসেবে গণ্য হবে৷

Expert Guarantee : প্রজেক্টের শুরুতে যদি বায়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য নিরাপত্তার জন্য জমা দিতে বলে, তাহলে সেই পরিমাণ মূল্য (শতকরাহিসেবে) এখানে উল্লেখ করুন৷ অন্যক্ষেত্রে এই ঘরটি খালি রাখুন, তা না হলে অযথা ঝামেলায় পড়বেন৷

Comment : এই অংশে প্রজেক্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য, প্রশ্ন, পরিকল্পনা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন৷ সাথে সাথে আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু তথ্য, আগের কাজের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে পারেন৷ তবে প্রজেক্ট সম্পর্কিত সামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য, আপনার মানসিক দৃঢ়তা, সঠিক সময়ে কাজ দেয়ার অঙ্গীকার ইত্যাদি কাজ পাবার ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা পালন করে থাকে৷ মন্তব্যের সাথে আপনার ফোন নাম্বার, ই-মেইল ঠিকানা ইত্যাদি দেয়া থেকে বিরত থাকুন৷

Attachment : বায়ারের সুবিধার জন্য মন্তব্যের সাথে আপনি অতিরিক্ত কোনো ফাইল, অতীতে কোনো প্রজেক্টের স্ক্রিনশট ইত্যাদি জিপ ফাইল আকারে আপলোড করতে পারবেন৷ তবে কখনই পূর্বে তৈরি করা কোনো প্রজেক্ট বা প্রজেক্টের অংশবিশেষ আপলোড করতে পারবেন না৷

Make Bid/Comment : সর্বশেষে এই বাটনটি ক্লিক করে আপনার বিড অথবা মন্তব্য সম্পন্ন করুন৷



শেষ কথা

রেন্ট-এ-কোডার সাইটের নিয়মকানুন খুব কড়াকড়িভাবে মেনে চলা হয়, যা বায়ার এবং কোডারের মধ্যে একটি আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করে৷ রেন্ট-এ-কোডারের মতো ফ্রিল্যান্সিং সাইটের কল্যাণে হাজারো কোডার তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছে৷ তবে এই সাইটের সার্ভিস চার্জ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি, প্রতিটি কাজের ১৫ শতাংশ কোডারকে পরিশোধ করতে হয়৷ আরেকটা অসুবিধা হচ্ছে সাইটে গোল্ডমেম্বার বলতে কোনো কিছু নেই, যা অন্যান্য সাইটগুলোতে আছে৷ তারপরও এই সাইটি ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বায়ার এবং কোডারদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এবং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে৷

কজ ওয়েব


ফিডব্যাক : zakaria.cse@gmail.com 
 
Read More

আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে

| |
0 comments
লেখাটি প্রথম আলো পত্রিকা থেকে সংগ্রীত। এটি মুদ্রনে এবং বিতরণে কোন আপত্তি নাই।
আউটসোর্সিংয়ে পুরস্কার পাওয়া ১৫ জন ফ্রিল্যান্সারকে নিয়ে ২ মার্চ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকম পাতায় বিশেষ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদন পড়ে আউটসোর্সিংয়ের কাজ কীভাবে শুরু করতে হয় সে ব্যাপারে অনেক আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আউটসোর্সিং শুরু করতে হবে কীভাবে? কোথায় কাজ পাওয়া যাবে? অর্থ আনবেন কীভাবে প্রভৃতি নিয়ে শুরু হচ্ছে এই ধারাবাহিক প্রতিবেদন।
আজ থাকছে পর্ব-১
আউটসোর্সিং: ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ করিয়ে নেয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে এসব কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে। যাঁরা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে দেন, তাঁদের ফ্রিল্যান্সার বলে। ফ্রিল্যান্সার মানে হলো মুক্ত বা স্বাধীন পেশাজীবী। আউটসোর্সিংয়ের কাজের খোঁজ থাকে, এমন সাইটে যিনি কাজটা করে দেন, তাঁকে বলা হয় কনট্রাকটর (তিনি কনট্রাক্টে কাজ করেন)। আর যিনি কাজ দেন, তাঁকে বলে বায়ার/এমপ্লয়ার (তিনি কনট্রাক্টে কাজ দেন)।
যে ধরনের কাজ পাওয়া যায়: আউটসোর্সিং সাইট বা অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা থাকে। যেমন: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, নেটওয়ার্কিং ও তথ্যব্যবস্থা (ইনফরমেশন সিস্টেম), লেখা ও অনুবাদ, প্রশাসনিক সহায়তা, ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, গ্রাহকসেবা (Customer Service), বিক্রয় ও বিপণন, ব্যবসাসেবা ইত্যাদি।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: এই বিভাগের মধ্যে আছে আবার ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, ই-কমার্স, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, ওয়েবসাইট টেস্টিং, ওয়েবসাইট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টর মধ্যে আছে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, গেম ডেভেলপমেন্ট, স্ক্রিপ্ট ও ইউটিলিটি, সফটওয়্যার প্লাগ-ইনস, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ইন্টারফেস ডিজাইন, সফটওয়্যার প্রকল্প-ব্যবস্থাপনা, সফটরয়্যার টেস্টিং, ভিওআইপি ইত্যাদি।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম: এর মধ্যে আছে নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডিবিএ-ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইআরপি/সিআরএম ইমপ্লিমেনটেশন ইত্যাদি।
রাইটিং ও ট্রান্সলেশন: এর মধ্যে আছে কারিগরি নিবন্ধ লেখা (টেকনিক্যাল রাইটিং), ওয়েবসাইট কনটেন্ট, ব্লগ ও আর্টিকেল রাইটিং, কপি রাইটিং, অনুবাদ, ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইত্যাদি।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট: এর মধ্যে আছে ডেটা এন্ট্রি, পারসোনাল অ্যাসিসট্যান্ট, ওয়েব রিসার্চ, ই-মেইল রেসপন্স হ্যান্ডলিং, ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি।

পর্ব ২
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া: এই বিভাগের মধ্যে আছে গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, প্রিন্ট ডিজাইন, থ্রিডি মডেলিং, ক্যাড, অডিও ও ভিডিও প্রোডাকশন, ভয়েস ট্যালেন্ট, অ্যানিমেশন, প্রেজেন্টেশন, প্রকৌশল ও কারিগরি ডিজাইন ইত্যাদি।
কাস্টমার সার্ভিস: এর মধ্যে আছে কাস্টমার সার্ভিস ও সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট, ফোন সাপোর্ট, অর্ডার প্রসেসিং ইত্যাদি।
বিক্রয় ও বিপণন: এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন, ই-মেইল বিপণন, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন), এসইএম (সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং), এসএমএম (সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং), জনসংযোগ, টেলিমার্কেটিং ও টেলিসেল্স, বিজনেস প্ল্যানিং ও মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ ও সার্ভেস, সেলস ও লিড জেনারেশন ইত্যাদি।
বিজনেস সার্ভিসেস: এর মধ্যে আছে অ্যাকাউন্টিং, বুককিপিং, এইচআর/পে-রোল, ফাইনানসিয়াল সার্ভিসেস অ্যান্ড প্ল্যানিং, পেমেন্ট প্রসেসিং, লিগ্যাল, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস কনসাল্টিং, রিক্রুটিং, পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ ইত্যাদি। এগুলো সম্পর্কে পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
কাজ পাবেন যেখানে: আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাওয়া যায় এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। আবার ভুয়া সাইটও বের হয়েছে। ফলে সতর্ক হয়েই কাজ শুরু করতে হবে। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সাইটের ঠিকানা দেওয়া হলো— http://www.odesk.com, http://www.freelancer.com, http://www.elance.com, http://www.getacoder.com, http://www.guru.com, http://www.vworker.com, http://www.scriptlance.com ইত্যাদি। সবগুলো মোটামুটি একই রকম। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ওডেস্ক (odesk)। গত বছর (২০১১) সারা বিশ্বের মধ্যে আউটসোর্সিং কাজ করার ভিত্তিতে ওডেস্কে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল চতুর্থ। তার আগের বছর (২০১০) ওডেস্কে ঢাকা শহরের অবস্থান ছিল সারা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয়।
পর্ব -৩
কোন কাজের কী যোগ্যতা: সাধারণত অনলাইনে কী ধরনের কাজ পাওয়া যায়, তা বলা হয়েছে। এখন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের জন্য কী ধরনের যোগ্যতা লাগে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: এই কাজে ওয়েবসাইট তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন∏এইচটিএমএল, পিএইচপি, জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস, মাইএসকিউএল ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এই ভাষাগুলোর ওপর দু-একটা পরীক্ষা দেওয়া থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: সফটওয়্যার তৈরি করা জানতে হবে। বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা যেমন জাভা, সি শার্প, ভিজু্যয়াল বেসিক, মাইএসকিউএল, ওরাকল, এসকিউএল সার্ভার ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম: ডেটাবেইস, নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। তবেই নেটওয়ার্কিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিষয়ক নানা কাজ পাবেন।
লেখা ও অনুবাদ: এ ধরনের কাজের জন্য ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে, কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ইন্টারনেট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। লেখালেখির অভ্যাস থাকলে ভালো হয়।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট: এই বিভাগের কাজগুলো তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। মূলত কপি পেস্টের কাজ। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার∏এসব ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া: আপনাকে গ্রাফিক্সের কাজ জানতে হবে। ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইন-ডিজাইন, ফ্ল্যাশ ইত্যাদি জানা থাকলে লোগো ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ খুব সহজেই করা যায়।
গ্রাহকসেবা: এই বিভাগের কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। দ্রুত ইংরেজি লেখা ও বলা∏দুটোতেই দক্ষ হতে হবে।
বিক্রয় ও বিপণন: ই-কমার্স সাইটগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট, ব্লগ, ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ (ফেসবুক, টুইটার), বিপণন, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
বিজনেস সার্ভিসেস: এই বিভাগের কাজের জন্য আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান থাকতে হবে। লেনদেনের বিভিন্ন মাধ্যম (পেমেন্ট মেথড) সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
পর্ব ৪
কীভাবে ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন: ্রথমে http://www.odesk.com ঠিকানায় গিয়ে ওপরে ডান পাশ থেকে Sign up-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি http://www.odesk.com/w/signup.php? ঠিকানায় যান। এখন Freelance Contractor সিলেক্ট করুন (ইন্টারনেট ব্রাউজারের বিভিন্ন ভার্সনের কারণে নানা রকম ইন্টারফেস আসতে পারে। আমি গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করেছি। আপনি Contractor সিলেক্ট করে Sign up-এ ক্লিক করবেন)। নিচের ফরমটি পূরণ করে continue-তে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে 1. Verify your email address-তে ক্লিক করুন। এখন আপনার ই-মেইল আইডিতে গিয়ে দেখবেন, একটি মেইল এসেছে। সেখানে একটি লিংক আছে, সেটাতে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Click here to continue-তে ক্লিক করুন। এখন 2. Fill out contact information-এ ক্লিক করুন। একটি ফরম আসবে। ফরমটি পূরণ করে Save and continue-তে ক্লিক করুন। এখন 3. Complete your oDesk Profile-এ ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Job Category-তে আপনি যা যা পারবেন, তা সিলেক্ট করে দেন। যাঁরা একেবারেই নতুন, তাঁরা Blog & Article Writing, Data Entry, Personal Assistant, Email Response Handling, Other – Administrative Support, Customer Service & Support, Other – Customer Service, Advertising, Email Marketing, SMM – Social Media Marketing ইত্যাদি সিলেক্ট করে দিতে পারেন। নিচে Primary Role থেকে Data Entry Professional সিলেক্ট করে দিতে পারেন। Desired Hourly Rate-এ 1 অথবা 2 দিতে পারেন। Availability-তে আপনি সপ্তাহে কত ঘণ্টা সময় দিতে পারবেন, তা নির্বাচন করে দিন।
পর্ব-৫
এখন Title-এ Internet, Facebook, twitter, google plus, data entry, email, ms word, blog ইত্যাদি লিখে Save and continue-এ ক্লিক করুন। এখন 4. Accept the oDesk User Agreement-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে I agree to the terms and conditions বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Save and continue-এ ক্লিক করুন। এখন Post my profile বাটনে ক্লিক করুন। My Contractor Profile-এর My Account Summary-তে দেখবেন Title, Portrait, Personal Email ইত্যাদি লেখা আছে। Portrait-এর ডান পাশে Upload portrait-এ ক্লিক করে আপনার ছবি যোগ করতে পারেন। ছবি যোগ করলে দেখবেন, আপনার প্রোফাইল ২০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে লেখা আসবে। প্রোফাইল কমপ্লিটনেস যত বেশি হবে, প্রতি সপ্তাহে তত বেশি জবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন; এবং আপনার জব পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। (আপনি যদি অন্য পেজে চলে গিয়ে থাকেন, তাহলে বাঁ পাশ থেকে My Contractor Profile-এ ক্লিক করুন, তাহলে দেখতে পাবেন।) এখন oDesk Ready-এর ডান পাশে Take the oDesk Readiness Test-এ ক্লিক করুন। oDesk Readiness Test-এর নিচের লেখাগুলো পড়ুন, তারপর Ready to take the test বাটনে ক্লিক করুন। oDesk সাইটের নিয়মকানুনের ওপর আপনাকে ৪০ মিনিটের মধ্যে ১১টি প্রশ্নের একটি টেস্ট দিতে হবে। উত্তরগুলো প্রশ্নের নিচের লিংকে ক্লিক করলেই পাবেন। টেস্ট দেওয়ার জন্য Start test বাটনে ক্লিক করুন। এখন নিচে continue-তে ক্লিক করে নতুন পেজ এলে Click here to start the test বাটনে ক্লিক করুন, টেস্ট শুরু হয়ে যাবে। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর পাবেন ওই প্রশ্নের নিচের লিংকে ক্লিক করলে। ১১টি প্রশ্নের উত্তরই সঠিক হলে এ টেস্টে পাস করবেন। ফেল করলে আপনার পাবলিক প্রোফাইলে এটি লেখা থাকবে না। পাস করলেই কেবল লেখা থাকবে। পাস না করলে আবার টেস্ট দেন। যতবার খুশি এই টেস্টটি দিতে পারবেন।
পর্ব ৬
পরীক্ষায় পাস করার পর প্রতি সপ্তাহে আপনি ১০টি করে জবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন। এখন আপনার My Contractor Profile পেজে যান। এখন Add a Skill-এ ক্লিক করে স্কিল যোগ করুন। নতুনেরা internet, facebook, twitter, google plus, data entry, email, ms word, blog ইত্যাদি যোগ করতে পারেন। এগুলোর এক-দুটি বর্ণ লিখলেই অটো সাজেশন চলে আসবে। সেখান থেকে সিলেক্ট করে Save করতে হবে। এখন দেখবেন প্রোফাইল ৩০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, লেখা আসবে। তারপর Add Employment Historyতে ক্লিক করে আপনি কোনো জব করে থাকলে এখানে যোগ করতে পারেন। তাহলে আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস আরও ১০ শতাংশ বাড়বে। জব অনলাইনেরই হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কোনো একটা হলেই হলো। মোটকথা, ওই ঘরটা পূরণ করা আছে কি না, এটাই দেখার বিষয়। কারও জব এক্সপেরিয়েন্স না থাকলেও সমস্যা নেই। এখন নিচে My Public Profile-এর নিচে Edit বাটনে ক্লিক করে নতুন পেজ এলে অনেকগুলো অপশনের মধ্যে Years of Experience-এ আপনি যত দিন ধরে ফেসবুক, ইন্টারনেট, কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহার করেন, তত বছর সিলেক্ট করে দিতে পারেন। English অপশনে আপনি ইংরেজি কেমন জানেন তা সিলেক্ট করে দিতে পারেন। তবে ৫ দিতে পারেন। Objective-এ অবজেকটিভ লিখবেন। কীভাবে লিখবেন তা অবজেকটিভ বক্সের নিচে Example দেওয়া আছে। Example-এ ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন। এখানে কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। এসব প্রোগ্রামিং ভাষা আপনার জানা না থাকলে আপনি নিজের মতো করে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ই-মেইল ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে লিখতে পারেন যে আমি গত দু-তিন বছর ধরে ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহার করি, ফেসবুকের নিয়মকানুন জানি, দ্রুত গুগল সার্চ করতে পারি, দ্রুত টাইপ করতে পারি, এম এস ওয়ার্ড ভালো জানি, ইত্যাদি ইংরেজিতে লিখতে পারেন। তারপর সেভ করুন। দেখবেন আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস আরও ১০ শতাংশ বাড়বে। এখন Education-এ ক্লিক করে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যোগ করতে পারেন। তারপর Portfolio Projects-এ আপনি আগে কোনো প্রজেক্ট করে থাকলে সেটি যোগ করুন। কোনো প্রজেক্ট না করে থাকলে http://www.blogger.com ঠিকানায় গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে একটি লেখা পোস্ট করলেই আপনার একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে যাবে। সেটির লিংকটা দিতে পারেন। তাহলে আপনার জব পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। Other Experiences-এ কোনো কিছু থাকলে দিতে পারেন, না দিলেও সমস্যা নেই।
পর্ব-৭
সার্টিফিকেশনসে কোনো কিছু না দিলে সমস্যা নেই। এখন দেখবেন, আপনার প্রোফাইল কমপ্লিটনেস অনেক বেড়ে গেছে। যদি আরও বাড়াতে চান, তাহলে http://www.odesk.com/tests ঠিকানা থেকে দু-তিনটি টেস্ট দিতে পারেন। তিন-চারটি টেস্ট দিলে প্রতি সপ্তাহে আপনি ২০টি কাজের (জব) জন্য আবেদন করতে পারবেন। Basic English test, English spelling test, MS word test, Windows xp test ইত্যাদি টেস্ট অনেক সহজ। ইচ্ছে হলে দিতে পারেন, না দিলেও সমস্যা নেই। ওপরের প্রতিটি সেটিংস যতবার খুশি ততবার পরিবর্তন করতে পারবেন। কাজেই কোনো কিছু ভুল হলে সমস্যা নেই, তা যেকোনো সময় আবার ঠিক করে নিতে পারবেন। আগের সেটিংস পরিবর্তন করার জন্য এই সাইটে লগইন করলেই ডান পাশে দেখবেন আপনার নাম এবং ছবির নিচে Edit Profile লেখা আছে। না থাকলে ওপর থেকে Find Work-এ ক্লিক করলে ডান পাশে পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই সবকিছু আবার পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনার প্রোফাইলটি অন্যরা, মানে যাঁরা (বায়ার) আপনাকে জব দেবেন, তাঁরা কেমন দেখতে পাবেন সেটি দেখার জন্য Find Work-এ ক্লিক করে নিচে ডান পাশে দেখবেন Your Profile Completeness-এর নিচে লেখা আছে View your public profile। এখানে ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন, আপনার পাবলিক প্রোফাইলটি কেমন।
কীভাবে জব খুঁজবেন: এ সাইটে লগইন করে Find Work-এ ক্লিক করুন। এখন সার্চ বক্সে আপনি যা যা পারেন, তা লিখে সার্চ দিন। আপনি যদি Facebook লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করেন, তাহলে ফেসবুক-সম্পর্কিত অনেকগুলো জবের তালিকা আসবে। একটি একটি করে পড়ে যেগুলো পারবেন, সেগুলোতে অ্যাপ্লাই করুন। আরেকটু কাস্টমাইজ করে সার্চ দিতে চাইলে সার্চ বাটনের পাশে দেখবেন Advanced লেখা আছে, সেখানে ক্লিক করুন। এখন আপনার পছন্দমতো সার্চ অপশনগুলোতে লিখে এবং চেক বক্সগুলোতে টিক চিহ্ন দিয়ে সার্চ দিতে পারেন। এভাবে ফেসবুকের বাইরেও, যেমন: Internet, twitter, php, sql, c#, mysql, wordpress, joomla, google plus, data entry, email, ms word, blog ইত্যাদি লিখে সার্চ দিতে পারেন। অর্থাৎ, আপনি যা যা পারেন, তা লিখে সার্চ দিতে পারেন।
পর্ব-৮
কাজের জন্য যেভাবে আবেদন: ওয়েব বা পত্রিকায় কোনো চাকরি বা কাজের বিজ্ঞাপন পছন্দ হলে অনেকেই সেখানে জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) পাঠান। কোনো একটা পদে এক বা দুজনকে হয়তো নিয়োগ দেওয়া হবে, কিন্তু সেখানে অনেকেই সিভি পাঠান। চাকরিদাতা সেই প্রতিষ্ঠান কিছু সিভি বাছাই করে তাঁদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকে। তারপর সেখান থেকে এক বা দুজনকে নিয়োগ দেয়। তেমনি আউটসোর্সিং সাইটেও যখন কোনো কাজের ঘোষণা (জব পোস্ট) দেওয়া হয়, তখন অনেকেই আবেদন করেন। তাঁদের মধ্য থেকে গ্রাহক বা বায়ার কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নেন। তারপর এক বা দুজনকে কাজটি করতে দেন। এ প্রক্রিয়াকেই বলে বিডিং বা বিড করা।
সাক্ষাৎকার নেয় কীভাবে? আপনাকে ওই সাইটেই বার্তা পাঠানো হবে—আপনি কাজটি কত দিনে করতে পারবেন, আগে কখনো এ ধরনের কাজ করেছেন কি না, কত ডলারের বিনিময়ে করে দেবেন ইত্যাদি। আপনিও ফিরতি বার্তায় এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন। তারপর আপনাকে পছন্দ হলে বায়ার আপনাকে কাজটি করতে দেবে। কোনো কোনো বায়ার স্কাইপ সফটওয়্যারে চ্যাট করতে চায়। তাই স্কাইপিতে (www.skype.com) একটা অ্যাকাউন্ট থাকা ভালো।
কেউ কেউ আছেন, যাঁরা চার-পাঁচটি কাজের জন্য আবেদন করেই কাজ পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ১০০টি কাজের আবেদন করেও কাজ পান না। এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি কাজটি করে দেওয়ার জন্য কত কম ডলার চাচ্ছেন তার ওপর। কোনো একটা কাজ ওই সাইটে প্রকাশ করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করা যায়, ততই ভালো। আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কারণ কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো ওয়েবে ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই (এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে) জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে মানে ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে থাকার চেষ্টা করবেন। প্রতি মিনিটে দেখবেন নতুন নতুন কাজের বিজ্ঞপ্তি দেখা যাচ্ছে।
পর্ব-৯
কোনো একটা কাজের (জব) বিজ্ঞপ্তি খুলে এর ডানপাশে পাবেন বায়ারের তথ্য। যেসব বায়ারের Payment Method Veৎified লেখা আছে, সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন। কোনো একটি জবের বিজ্ঞাপন ভালোভাবে পড়ার পর এর নিচে দেখবেন Apply to this job নামের একটি বাটন আছে, সেখানে ক্লিক করুন।
নতুন একটি পেজ আসবে। এ পৃষ্ঠার ওপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে ডলারের পরিমাণ লিখুন, মানে কত ডলারে আপনি কাজটি করতে চাচ্ছেন। ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি) কাজ হলে প্রতি ঘণ্টায় কত ডলার হারে কাজটি করতে চাচ্ছেন, তা লিখুন। তারপর Cover Letter বক্সে একটি কভার লেটার লিখুন। ফেসবুক-সম্পর্কিত জব হলে অর্থাৎ জবটি যদি হয় ফেসবুকের কোনো পেজে লাইক কালেক্ট করে দেওয়া, তাহলে লিখতে পারেন—
Hi,
I am interested to do your project. I can provide/collect you more than 0000 facebook likes within 0 days. I have more than 0000 facebook friends and also have many facebook groups, page etc. So I think, I can do your project properly.
Thanks
AR
অর্থাৎ জবের বিজ্ঞাপনে যা যা চাওয়া হয়, তার উত্তর দিয়ে কভার লেটারটি লেখার চেষ্টা করুন। এ-সম্পর্কিত কোনো কাজ আগে করে থাকলে তা উল্লেখ করতে পারেন। Attachment: এ কিছু লাগবে না। এখন Agree to Terms: বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক করুন।
পর্ব ১০
কোনো কাজ যদি নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক অর্থাৎ ফিক্সড প্রাইসের হয়, তাহলে ওপরে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে কত ডলারের বিনিময়ে কাজটি করতে চান, তা লিখুন। Estimated Duration-এ কাজটি কত দিনের, তা নির্বাচন করে দিন। Cover Letter বক্সে আগের মতো করে একটি কভার লেটার লিখুন। এখন Agree to Terms বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। Upfront payment (optional) এবং Attachment লাগবে না। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক করুন। জবে অ্যাপ্লাই করা হয়ে গেছে। তারপর বায়ার আপনার ইন্টারভিউ (মেসেজ দেওয়া-নেওয়া) নেওয়ার পর আপনি সিলেক্ট হলে আপনাকে কাজটি করতে দেবে, মানে জবটিতে আপনাকে হায়ার্ড করা হবে। জবটি সক্রিয় হবে। তখন আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে YourÊcontractÊ“Facebook” started। ওই নোটিফিকেশনে ক্লিক করলে পাশের ছবিটির মতো দেখতে পাবেন।
কীভাবে একটি ভালো কভার লেটার লিখতে হয়, তা জানতে পারবেন http://kb.odesk.com/questions/ 136/What+is+a+good+cover+letter%3F
ঠিকানা থেকে। আর কোনো প্রশ্ন থাকলে http://kb.odesk.com/categories/Contractors/Job+Applications+%28Contractors%29/#upfront ঠিকানায় যেতে পারেন।
পর্ব ১১
কীভাবে কাজ করবেন: ওডেস্কে দুই ধরনের কাজ আছে। একটা হলো—ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি), আরেকটা হলো নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকে (ফিক্সড প্রাইস)। ফিক্সড প্রাইসের কাজগুলো ইচ্ছামতো করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার পর বায়ার কাজগুলো যাচাই করবেন। এরা আপনাকে পারিশ্রমিকের অর্থ (পেমেন্ট) দেবেন। আর ঘণ্টাভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে http://www.odesk.com/downloads ঠিকানা থেকে ওডেস্ক টিম সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিতে হবে। এটি ইনস্টল করার পর সফটওয়্যারটি চালু করে সাইন-ইন করতে হবে। এরপর যে কাজটি করতে চান অর্থাত্ যে জবটি পেতে চান, সেটি নির্বাচন করে Start-এ ক্লিক করবেন। তাহলে ওই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার কাজের সময় গণনা শুরু হবে। ওই সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনশট নেবে। প্রতি ঘণ্টায় ছয়টি করে। সময় গণনা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে। কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার স্ক্রিনশটগুলো দেখে বুঝতে পারবে আপনি কাজ করেছেন কি না। স্ক্রিনশট নেওয়ার সময় আপনি ইচ্ছা করলে ডিলিটে ক্লিক করে এক-দুইটা স্ক্রিনশট মুছেও দিতে পারবেন।
কাজ শেষ হওয়ার পর বায়ার যখন আপনাকে পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন, তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে BuyerName ended your contract Facebook। তখন বায়ার আপনার কাজের মূল্যায়ন বা ফিডব্যাক জানাবেন। আপনিও বায়ারকে একটি ফিডব্যাক দেবেন। পূর্ণমান ৫-এর মধ্যে আপনি বায়ারকে নম্বর দেবেন এবং বায়ারও আপনাকে নম্বর দেবে। কেউ কারওটা আগে দেখতে পাবেন না। উভয় পক্ষ ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অপরেরটা দেখতে পাবেন। সাধারণত ৫-এর নিচে কেউ ফিডব্যাক দেয় না। আপনি বায়ারের সঙ্গে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারবেন, তাঁর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন এবং তিনি আপনাকে কেমন ফিডব্যাক দিতে পারেন। ফিডব্যাক নিয়ে আপনি যতটুকু টেনশনে থাকবেন, বায়ারও ততটুকু টেনশনে থাকবেন। কারণ, আপনিও বায়ারকে বাজে ফিডব্যাক দিতে পারেন। ফিডব্যাক আপনার ও বায়ার উভয়েরই প্রোফাইলে যুক্ত থাকবে—যা সবাই দেখতে পাবে। ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তীকালে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক পেলে সেটি মুছে ফেলতে পারবেন। আপনি যদি বায়ারের পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দেন, তাহলে আপনার প্রোফাইলে ওই বাজে ফিডব্যাক আর দেখা যাবে না। নোটিফিকেশন পেইজে Give refund-এ ক্লিক করে আপনি বায়ারকে পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দিতে পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো পেন্ডিং থেকে তারপর আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আপনার বর্তমানে ব্যালান্স কত আছে এবং পেনডিং-এ কত আছে, সেটি জানার জন্য ওপরে ডধষষবঃ-এ ক্লিক করে Transaction History-এ ক্লিক করুন।
শেষ পর্ব
কীভাবে টাকা তুলবেন: ওডেস্কে কাজ করেছেন, আপনার ওডেস্ক অ্যাকাউন্টে ডলার জমা হয়েছে। এখন সেগুলো তুলে নিজের কাছে আনবেন কীভাবে? এর জন্য প্রথমে ওপরের Wallet-এ ক্লিক করে তারপর Payment Methods-এ ক্লিক করুন। নতুন পৃষ্ঠা খুললে দেখবেন অনেকগুলো লেনদেনের পদ্ধতি আছে। এসবের মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারেন। এর একটি পদ্ধতি হলো, পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ড। পাইওনিয়ার ডেবিট কার্ডের ডান পাশে Sign Up Now-এ ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে সবার নিচে Get your prepaid MasterCard card now বাটনে ক্লিক করুন। এরপর Order Card-এর নিচে তিনটি বাটনের প্রথমটি Start Here-এ ক্লিক করুন। একটি ফরম আসবে সেটি পূরণ করে বাকি দুটি বাটনে ক্লিক করে সেগুলোও পূরণ করে Finish-এ ক্লিক করুন। এখন এক মাসের মধ্যে আপনার বাসার ঠিকানায় (ফরম পূরণের সময় যে ঠিকানা দিয়েছেন) যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি প্রিপেইড মাস্টার কার্ড আসবে। এর জন্য কোনো টাকা-পয়সা দিতে হবে না। তবে আপনি যখন ওডেস্ক থেকে বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে প্রথমবার এই মাস্টার কার্ডে ডলার লোড করবেন তখন শুরুতে ১০-১৫ ডলার এই কার্ডের সার্ভিস চার্জ বাবদ কেটে নেবে। প্রতি মাসে তিন ডলার করে আপনার মাস্টার কার্ড অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেবে। কাজেই প্রথমবার ওডেস্ক থেকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করতে ১৫ ডলারের মতো খরচ হবে। ওডেস্ক থেকে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে বা অন্য কোনো মাধ্যমে অর্থ (ডলার) উত্তোলন করতে প্রথমে ওপরে Wallet-এ ক্লিক করে তারপর Withdraw-তে ক্লিক করুন। নতুন পেইজ এলে Withdrawal Method থেকে কোনো মেথড সিলেক্ট করে Amount থেকে কত ডলার তুলতে চান, তার পরিমাণ লিখে Withdraw বাটনে ক্লিক করুন। দুই দিন পর আপনার অ্যাকাউন্টে ডলার চলে আসবে। প্রতিবার ওডেস্ক থেকে ডলার ট্রান্সফার করতে দুই ডলার খরচ হয়। মাস্টার কার্ডের সুবিধা হলো, এটি দিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশের সব এটিএম বুথ থেকে ডলার তুলতে পারবেন। বাংলাদেশের যেকোনো এটিএম বুথ থেকে তুললে ডলার অটো টাকায় কনভার্ট হয়ে সমপরিমাণ টাকা বেরিয়ে আসবে।
Read More

Tuesday, November 26, 2013

Teletalk 3G Prepaid Broadbank Pack

| |
0 comments

Promotional Offer
Tariff/Charges:
Data Volume Subscription Fee Usage Validity Subscription Code
1 GB TK. 160 10 days D19
1 GB TK. 260 30 days D31
2 GB TK. 350 30 days D20
5 GB TK. 600 30 days D21
10 GB TK. 780 30 days D22
30 GB TK. 1300 30 days D32
VAT applicable
This offer will valid till November 30, 2013.
::Note:
  • The speed will be 512Kbps for above data plan.
  • To subscribe any data pack, type "Subscription Code" and Send to 111. For example, to subscribe 30GB data pack for 30days, type D32 and send to 111.
  • SMS charge is FREE for subscribing the data pack.
  • After exhaustion of data volume, subscriber will be notified through SMS. If subscriber doesn't subscribe any data plan, Pay Per Use 1Paisa/15KB will be activated.
  • This promotional data plan offer will exist till November 30, 2013 from date of commence.
  • 15% VAT will be included.
Read More
Powered by Blogger | Big News Times Theme by Basnetg Templates
Powered by Blogger.